কি সেবা কিভাবে পাবেন পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সমূহ এবং পাওয়ার স্থান সমূহ খাবার বড়িঃ মহিলাদের জন্য একটি স্বল্পমেয়াদী অস্থায়ী পদ্ধতি। এটি একটি সহজ, নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ পদ্ধতি। আমাদের দেশের বেশির ভাগ মহিলা এই পদ্ধতি ব্যবহার করছেন এবং কার্যকারিতার হার শতকরা ৯৯ ভাগ। পাওয়ার স্থানঃ- এটি পরিবার কল্যাণ সহকারীদের নিকট, সদর ক্লিনিক-সদর হাসপাতালে, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে, কমিউনিটি ক্লিনিকে, স্যাটেলাইট ক্লিনিকে, বেসরকারী হাসপাতালে ও ক্লিনিকে, এনজিও মাঠ কর্মীদের কাছে এবং শহর ও গ্রামের ঔষধের দোকানে পাওয়া যায়। কনডমঃ এটি পুরুষের জন্য একটি অস্থায়ী পদ্ধতি। এটি একটি নিরাপদ ও সহজ পদ্ধতি। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এর কার্যকারীতার হার শতকরা ৯৭ ভাগ। কনডম ব্যবহারে জন্মনিয়ন্ত্রণ ছাড়াও যৌনবাহিত রোগ এবং এইডস রোগ ছড়ানো রোধ করা যায়। পাওয়ার স্থানঃ- এটি পরিবার কল্যাণ সহকারীদের নিকট, সদর ক্লিনিক-সদর হাসপাতালে, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে, স্যাটেলাইট ক্লিনিকে, কমিউনিটি ক্লিনিকে, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে, বেসরকারী হাসপাতালে ও ক্লিনিকে, এনজিও মাঠ কর্মীদের কাছে এবং শহর ও গ্রামের ঔষধের দোকান ছাড়াও প্রায় সব ধরনের দোকানে পাওয়া যায়। ইনজেকশনঃ মহিলাদের জন্য একটি স্বল্প মেয়াদী অস্থায়ী পদ্ধতি। এটি একটি সহজ নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ পদ্ধতি। এর কার্যকারীতার হার শতকরা ৯৯ ভাগ। একবার দেওয়া হলে ৩মাস কার্যকর থাকে। অন্তত একটি জীবিত সন্তানের মা এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। পাওয়ার স্থানঃ- সদর ক্লিনিক-সদর হাসপাতালে, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে, স্যাটেলাইট ক্লিনিকে, কমিউনিটি ক্লিনিকে এবং এনজিও ক্লিনিকে এ সেবা প্রদান করা হয়। এছাড়াও বর্তমানে পরিবার কল্যাণ সহকারীগণ দ্বিতীয় ও পরবর্তী ডোজ ইনজেকশন বাড়ি পরিদর্শনের সময় প্রদান করছেন। আইইউডিঃ - মহিলাদের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী অস্থায়ী ক্লিনিক্যাল পদ্ধতি। বর্তমানে আইইউডি ৩৮০এ ব্যবহার করা হয়। এটি মহিলাদের জরায়ুতে স্থাপন করা হয়। এর কার্যকারীতার হার শতকরা ৯৯.২ ভাগ। একবার আইইউডি পরানো হলে ১০ বছর সন্তান জন্মদান থেকে বিরত থাকা যায়। অন্তত একটি জীবিত সন্তানের মা এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। পাওয়ার স্থানঃ- সদর ক্লিনিক-সদর হাসপাতালে, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে, কমিউনিটি ক্লিনিকে এবং এনজিও ক্লিনিকে এ সেবা প্রদান করা হয়। ইমপ্ল্যান্টঃ এটি মহিলাদের জন্য একটি দীর্ঘ মেয়াদী অস্থায়ী ক্লিনিক্যাল পদ্ধতি। এটি মহিলাদের হাতের ভেতরের দিকে কনুইয়ের উপরে চামড়ার ঠিক নিচে স্থাপন করা হয়। এর কার্যকারীতার হার শতকরা ৯৯ ভাগেরও বেশী। বর্তমানে ১ ও ২ রড বিশিষ্ট ইমপ্ল্যান্ট এর মেয়াদ ৩ বৎসর। অন্তত একটি জীবিত সন্তানের মা এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। সম্পাদনের স্থানঃ- সদর ক্লিনিক-সদর হাসপাতালে (প্রতি সোম ও বুধবার) এ সেবা প্রদান করা হয়। মহিলাদের জন্য স্থায়ী পদ্ধতি (টিউবেকটমি)ঃ এটি মহিলাদের জন্য একটি স্থায়ী পদ্ধতি। যে সব দম্পতি ভবিষ্যতে আর সন্তান চান না এবং যাদের ২টি জীবিত সন্তান আছে এবং ছোট সন্তানের বয়স কমপক্ষে ২ বছর সে সব দম্পতি এই পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারেন। এর কার্যকারীতার হার শতকরা ১০০ ভাগ। সম্পাদনের স্থানঃ- সদর ক্লিনিক- সদর হাসপাতালে (প্রতি সোম ও বুধবার) এ সেবা প্রদান করা হয়। পুরুষদের জন্য স্থায়ী পদ্ধতি (ভ্যাসেকটমি)ঃ এটি পুরুষদের জন্য একটি স্থায়ী ও কার্যকর ও নিরাপদ পদ্ধতি। যে সব দম্পতি ভবিষ্যতে আর সন্তান চান না এবং যাদের ২টি জীবিত সন্তান আছে এবং ছোট সন্তানের বয়স কমপক্ষে ২ বছর সে সব দম্পতি এই পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারেন। এর কার্যকারীতার হার শতকরা ১০০ ভাগ। সম্পাদনের স্থানঃ- সদর ক্লিনিক- সদর হাসপাতালে (প্রতি সোম ও বুধবার) এ সেবা প্রদান করা হয়। ইসিপি (ইমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল)ঃ এটি কোন নিয়মিত গর্ভনিরোধক পদ্ধতি নয়, ব্যাকআপ সাপোর্ট হিসাবে শুধুমাত্র জরুরী প্রয়োজনেই ব্যবহার করা যায়। অরক্ষিত সহবাসের ফলে একজন মহিলার সম্ভাব্য গর্ভধারন রোধ করতে ঐ সহবাসের ৩ দিনের (৭২ ঘন্টা) মধ্যে খাওয়া শুরু করতে হয়। তবে অরক্ষিত সহবাসের পরে যত তাড়াতাড়ি ইসিপি খাওয়া যায় এর কার্যকারীতার হার তত বেশী। ইসিপির ১ম ডোজটি অরক্ষিত সহবাসের ৭২ ঘন্টার মধ্যে এবং ২য় ডোজটি ১ম ডোজটির ঠিক ১২ ঘন্টা পরে খেতে হয়। পাওয়ার স্থানঃ- পরিবার কল্যাণ সহকারী, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা এবং ঔষধের দোকানে ইসিপি পাওয়া যায়।
কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার এবং পরিবার কল্যাণ সহকারীদের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
জাইকার(JICA—Japan International Co-operation Agency) সহযোগীতায় বাস্তবায়িত মা ও নবজাতকদের অবস্থান ও সেবা কার্যক্রমের উন্নয়ন কল্পে দৌলতপুর ইউনিয়নে প্রকল্প কার্যক্রম চলমান।
ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়, দৌলতপুর, মনোহরদী,নরসিংদী
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস